কোন এক জোছনা প্লাবিত দিনে ‘আঙ্গুল কাটা জগলু’ আর ‘কুহুরাণী’র মত করে ‘অন্যভূবন’ পেরিয়ে আমি এসেছিলাম ‘তোমাদের এই নগরে’, ‘নন্দিত নরকে’র সন্ধানে।

‘দরজার ওপাশে’ ‘উঠোন পেরিয়ে’ এসে ডেকেছিল মায়াময় এক ‘দেবী’। ‘মেঘের ছায়া’তে দাড়িয়ে সাড়া দিয়েছি সে ডাকে। ‘ময়ূরাক্ষী’র তীর ধরে হেঁটে পেরিয়েছি দিগন্ত, ‘আয়নাঘর’ খুঁজেছি দুজনে ‘অদ্ভুত সব গল্প’ হাতে নিয়ে।

ব্লাডমেরি আর অদ্ভুত সব রেসিপি খেতে চেয়েছি যতবার- ‘কুটু মিয়া’ দাত বের করে হেসে বলেছে হয়ে যাবে স্যার। ‘আজ চিত্রার বিয়ে’ ; অথচ বিয়েতে যেতে পারবোনা। কারণ ‘কোথাও কেউ নেই’।

‘চাদের আলোয় কয়েকজন যুবক’ দেখেছিলাম। তারা ‘গ্রেভিটিকে অগ্রাহ্য করে ভাসতে চায় ‘শুন্য’! ‘তিথির নীল তোয়ালে’ খুঁজে পাওয়া যাচ্চেনা। এদিকে ‘দ্বিতীয় মানব’ খ্যাত জলিল সাহেবও পাত্তা দিচ্চেন না ব্যাপারটায়। কারণ আজ যে ‘জলিল সাহেবের পিটিশন’।

আমি দেখে এসেছিলাম ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ; ‘অন্ধকারের গান’ বেহালায় তুলে নিয়ে আমি ‘একা একা’ পার করি ‘এইসব দিন রাত্রি’। একাকী আমি ‘কাঠপেন্সিল’ হাতে আবারো লিখি ‘ছেলেটা’র ‘কচ্ছপ কাহিনী’।

‘আমি এবং আমরা’ ; ঘুরে বেড়িয়েছি ‘ঊঠোন পেরিয়ে দু’পা’। এ যেন ‘ছেলেবেলা’ সেই স্মৃতি! আমি গিয়েছিলাম ‘অচিনপুর’ ; ‘অদ্ভুত সব গল্প’ শুনতে। ‘অন্তরার বাবা’ ‘একা একা’ ‘বসন্ত বিলাপ’ করতে লাগলেন। ‘আশাবরি’ আমি সেদিন ‘বাদল দিনের দুইটি কদমফুল’ হাতে ‘মীরার গ্রামের বাড়ি গিয়েছলাম’। ‘শুভ্র গেছে বনে’- তেতুল বনে জোসনা দেখতে। ‘মিসির আলীর চশমা’ ভেঙ্গে গেছে ; তাই ‘মৃণ্ময়ীর মন আজ ভালো নেই’। ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’, তাই ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ‘মধ্যাহ্ন’ ‘কিছুক্ষণ’ কাটিয়েছিলাম ‘মেঘের উপর সাদা বাড়ি’তে।

চাঁদ ডুবে আসে ধীরে ধীরে রাতের আবর্তনে আমি হয়ে যাই সবহারা এক ‘গৃহত্যাগী জোৎস্না’ ‘জাদুকর’ হয়ে মিশে যাই সোডিয়াম আলোর বন্যায়। পিছে ফেলে আসি একজন ‘ছায়াবীথি’ আর অজস্র নীল ‘জলপদ্ম’।

প্রিয় পাঠক শ্রোতা কি লক্ষ করেছেন- এই লেখায় কোথাও হিমু নেই! থাকবে কিভাবে? ‘হিমু এবং একজন রাশিয়ান পরী’ যে ‘নক্ষত্র’ দেখতে বেড়িয়ে পড়েছে! ‘হহলুদ পাব্জাবি আর খালি পায়ে ‘হিমু’ ; এবং নীল শাড়ি পরে ‘রূপা’- ভাবতেই ভালো লাগে। ‘এবং হিমু’ হ্যা ‘হলুদ হিমু ও কালো র‍্যাব’ কিংবা ‘হিমু ও হার্ভাড পিএইচডি বল্টু ভাই’ – বেচে থাকুক প্রতিটা হুমায়ুন আহমেদ ভক্তের হৃদয়ে।

© আহমদ আতিকুজ্জামান।

Leave a comment