সস্তা কাঠপেন্সিলের গাঁথুনিতে কাঁপা হাতে সুইসাইড নোট লিখার পূর্বে খুব করে চোখে ভাসছিলো প্রেমিকার ঘাড়ে ঘন নিঃশ্বাস ছেড়ে উষ্ণ চুম্বনের পর তৃপ্তির প্রথম আলিঙ্গনের দৃশ্য!

মূহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো কাঁধে হাত রেখে বাবা দাঁড়িয়ে আছেন; সে বাবা- যাকে কখনোই গর্বিত করতে পারেনি সন্তান!

কিংবা, সে মমতাময়ী মা; ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন হয়তো দূরে থেকে। যার চোখে সন্তান তার আজন্ম-ই খোকা রয়ে গেলো!

খানিকের জন্য চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠে ছোট্ট বোনটির গোলগাল মুখখানা; যাকে আদর ছাড়া আজ অব্দি কিছুই দিতে পারেনি তার ভাইয়া। আজকের পর সেটিও আর পাচ্ছেনা বেচারি!

চুলে হাত বুলাতে বুলাতে সে বন্ধুটির কথাও একবার স্মরণ হলো; যার সাথে জীবনের শ্রেষ্ট সব মূহুর্ত পার করা, কুৎসিত সব ব্যাপার শেয়ার করা- প্রেমিকমনের সবটুকু জ্ঞান পাকা ওস্তাদের মতো জাহির করা কিংবা দুঃখ বেদনায় একসাথে বুকে জড়িয়ে ধরা!

একটা ছোটখাটো সুইসাইড নোট। এক শিশি মরফিন। অন্ধকার রুম। জলন্ত সিগারেটের শেষ অংশ, নিকোটিনের গন্ধে আলোড়ন। মিনিট তিনেকের অপেক্ষা, তারপর?

তারপর মুক্তি! এই পরিবেশ, এই সমাজ- এই বাকরুদ্ধ কন্ঠের মুক্তি। এই জরাজীর্ণ দেহকে যারা এতোদিন হতাশার আগুনে পুড়িয়ে নরকের মুগ্ধতায় গিলে গিলে খেয়েছে, তাদের মুক্তি।

সুইসাইড নোট || মরফিনে আচ্ছাদিত মগজ।

Leave a comment