প্রিয় শুভ্র,
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে। আমাদের শাদা বাড়ি-তে মাতাল হাওয়ার কোন এক গৃহত্যাগী জোছনায় একা একা অপেক্ষা করতে করতে শূন্যে মিলিয়েছিলাম। অন্ধকারের গান শুনতে শুনতে তোমাদের এই নগরে উঠোন পেরিয়ে দুই পা এগিয়ে দেখি কোথাও কেউ নেই নির্বাসন হবার ভয় ছিল তবে শুধু মেঘ বলেছে যাব যাব চক্ষে আমার তৃষ্ণা, দরজার ওপাশের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এখন শুধু আকাশ জোড়া মেঘ, তেঁতুল বনে জোছনা এসব স্বপ্ন ও অন্যান্য অদেখা ভুবন কল্পনা করি আর ভাবি, সে আসে ধীরে বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল কিংবা নীল অপরাজিতা হাতে।
এই শুভ্র এই নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ নিশ্চয়ই? আর দেখ এই আমি সূর্যের এমন দিনে আমার আপন আঁধার-এ আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই আমি এবং আমরা যদি পেন্সিলে আঁকা পরী হতাম তবে এই অদ্ভুত সব গল্প মুছে ফেলে উড়ালপঙ্খির মত চলে যেতাম তোমার প্রিয়পদরেখা ধরে। বিরহগাঁথা নন্দিত নরকে বসে জোছনা ও জননীর গল্প এখন ভয়ংকর ভুতুড়ে মনে হয়। দিনের শেষ কৃষ্ণপক্ষে লিলুয়া বাতাস, এইসব দিনরাত্রি আমার দ্বৈরথ মনে হয়।
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ বৃষ্টি ও বসন্তবিলাস, কাক ও কাঠগোলাপের এই আনন্দ বেদনার কাব্য তবে এখানেই শেষ হোক। শুধু জেনে রেখো তুমিহীন জনম জনম জীবন নামের এই আয়নাঘরে আমি আর নেই।
শুধু আমার এপিটাফে লিখে দিও পাখি আমার একলা পাখি

Leave a comment